Saturday, July 20, 2019

কবিতা - সমীরণ ঘোষ





কালো পাথরের  দেশ

এক.

লোহার শরীর থেকে শিস তোলো। আর আমি ব্রঞ্জের
ভূমিকায়। শতক শতক ভাঙা প্রান্তে দাঁড়িয়ে

দুই.

বৃষ্টি গড়াবে। মৃত হাড় নালা কেটে নৌকো ঠেলছে
সমাধি বিভোল। আর প্রচীন লাবণ্যে আধবোজা

তিন.

গান তো গড়িয়ে নামা গণসমাধির পাশে বাঁকা নদী
একদিকে বজ্র জ্বলছে। অন্যদিনে ভবানন্দ
কুশাসনে শান্ত অসীম

চার.

মুখে ততদূর ভাবি। যত দীর্ঘ জিভের কুঠার

পাঁচ.

সূর্যাস্ত তেমনই কোনো লাভার প্রাচীন জনপদ
ছড়ানো ছিটোনো হাড় দিগন্তের আরশি খুলে বসে

ছয়.

টুকরো আঙুলের শীত যে অব্দি খুঁড়ছে
ততদূর মৃতের আধান

সাত.

ভোরের সমাধি থেকে মৃতের বসন্ত বুনো ঝোপে রক্ত
ঝরিয়ে। সন্ধে তাকে তুক করে ফেরায় আবার
সাদা হাড়ের মায়ায়

আট.

বালির উন্মাদ শুধু উটের সমাপ্তি অব্দি শুয়ে

নয়.

সন্ধে দুলছে। কালপুরুষের ছোরা বিলম্বিত করছে কানাড়া

দশ.

হাড়ে নৌকোয় এসে তোমার ক্ষমার কথা মনে পড়ে

এগারো.

ভেঙে ভেঙে যেটুকু উঠলাম।পরছাঁয়
মা ছিল তরাই বন। মা ছিল ভাঙনের আবছায়া

বারো.

যদি সামান্য কিছুও আলো ওঠে
পাশে আমার অদূরবর্তী কণা গোলকের অন্ধকরবী

তেরো.

খুঁড়ি। একটা আঙুল যদি ভস্মশেষে মুখ তোলে
হাড়ের বিভায়

চোদ্দো.

হয়তো কিছুই নয়।লক্ষ লক্ষ সাপ উড়ে যাচ্ছে শূন্যে
হয়তো বৃষ্ট নেমে কখনও কোথাও
হারানো রাস্তা থেকে ভেসে যাবে মৃত নগরীর ভাপ

পনেরো.

বালি খুঁড়ে খুঁড়ে ডাকি
যদি চাকার অনন্তে এসে একটা মাটির গাড়ি নড়ে ওঠে


ষোলো

পিঁপড়ে হয়ে চলে যাচ্ছ গোধূলিগর্ভে
আজ বুঝি এই প্রতারণা

সতেরো.

তুমিও পাতাল। আর অন্ধের ঠিকানায় লিখি
মহামায়া সেই লিপি পৌঁছে দেন ব্রহ্মতিমিরে

No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

চলচ্চিত্র নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত? ঋত্বিক ঘটক :   চলচ্চিত্র তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্য মানবজাতির জন্য ভাল কিছু করা। যদি আপ...

পাঠকের পছন্দ