Saturday, July 20, 2019

কবিতা- কুমারেশ তেওয়ারী






দহনে পরম স্নান

কতটা পুড়েছি আর আরও কিছু পোড়া বাকি আছে
গেরস্ত যুদ্ধের শেষে পুর্ণব্রহ্মরূপী পাখি নাচে
সীমান্তে ফুলের গন্ধ বায়োপিকে পরেছি গলায়
নিজেরই বাগানে থাকা ঝুম গন্ধ শূন্য চোখে চায়
কসমিক তাপে পুড়ি আর ডাকি গোপনে শ্রীহরি
নৌকোর শূন্যের কোলে রাতদিন নড়ি আর চড়ি
ট্রেকিংয়ের জাদুঘরে নখ মোছে বেড়ালবিলাস
অবৈধ খেতের কাছে পড়ে থাকে বৈধতার চাষ
সিদ্ধার্থ নামের কাছে পড়ে থাকে আহত যাপন
ওখানে স্নানের শেষে উঠে আসে শঙ্খশুভ্র মন?


পরকীয়
 


মৃদুল হাতের কাছে ঝুলে আছে 
                                      শাড়িটির মোহ
তারের উপর থেকে প্রপাতে নেমেছে
 
                                           ঢঙের বাহার
বড়ো ভালো লাগে এই সহজিয়া ভান 
মনে হয় ঝুলের ভেতরে নেমে
 
খুঁজে নিয়ে আসি অসীম আবেগে ঠাসা
          
পরকীয় সেই বৃন্দাবন, রাধিকার প্যার
শাড়িটি কি কেঁপে ওঠে থরথর বুক 
পুরুষ ঘামের কাছে কামনার নীল সুতো
 
পেতে রাখে পেতে রাখে
 
                                   জ্বরের অসুখ


মরাই

আঁচলের খুঁটে তবে বাঁধা থাক রূপের মরাই
শুধু শুনে যাবো চালের প্রবাহ থেকে
 
ঝরে পড়া শব্দময় গানের তেহাই
খুঁজে যাবো অরূপের বিমূর্ত গভীরে নেমে 
সিঁড়ি বা সিঁড়ির মতো অবয়ব কিছু
রাতের গভীর কথা যখন চেতনা বেয়ে 
উঠে আসে, নদীকল্প রূপ
মধুজলরাশি ছুঁয়ে কী খেলা কী খেলা
হরিণ নিয়েছে দেখি হরিণীর পিছু
হাতের ভেতরে থাকা পানপাতাটির তীরে 
সযত্নে নামাবো শুধু রাশি রাশি রূপশালী ধান
 
অতঃপর উঁচু গলা ডাক দিলে
থেমে গিয়ে ভোরের আজান
 
দেখবে মানুষ এক উর্বর মাটিতে
 
বীজের স্বভাব আর পরম্পরা
 
                                         চায়  ধরে নিতে


মধুবাতা

মধুবাতা ঋতায়তে পূণ্যবান সময় গোলাপ
ঋ-এর ভেতরে তার জাগতিক মঙ্গল আধার
মধু ঝরে পড়ে আর অসম্ভব লবণাক্ত মন
মানে মানে সরে পড়ে ধুরন্ধর মহাবাস্তুসাপ
চিরান্ধ পতঙ্গকুল দহনের পাঠ রেখে গেলে
সন্দীপন মুনি তার পাঠশালা রেখে দেয় খুলে
আলের ভেতরে থাকা পূর্ণব্রহ্ম রোদের উত্তাপ
মোহন বাঁশির থেকে রাধাচোখ আঁখিপাতা মেলে
মিলন প্রকৃত অর্থে শিমুলের ভাবথরথর
তন্তুজালে ফুটে ওঠে সামুদ্রিক ঢেউচন্দ্রতারা
নৌকোর ভেতরে থাকা নৌকোটির নরম উল্লাস
পরমানন্দের পথে গড়াগড়ি খুব মৃদু জ্বরও


রঁদেভু

রাতের আকাশ থেকে নেমে এলে 
                                         অতলান্ত সুর
দিগন্ত বিস্তারি মাঠে যাই
দেখি কত খোলামেলা আদিগন্ত ধরে
শঙ্খধ্বনি ওঠে খুব ইন্দ্রিয়ের ঘরে 
দ্যুতক্রীড়া ফেলে রেখে ছয়টি ইন্দ্রিয়
 
ফুরফুরে হাওয়ার ধারাভী ভেতরে
খুলে দেয় নিজেদের আঁট হয়ে বসে থাকা
 
                                                     অন্তর্বাস
ময়ূরপুচ্ছের থেকে আলো বের হয়ে 
কিচিরমিচির করা পাখিদের নিয়ে
জলকেলি করে খুব বসুধা পুকুরে
মোমের শরীর বেয়ে নেমে আসা মোম
হঠাৎ হেঁয়ালি তুলে হাততালি দিলে
প্রেরণাপ্রত্যাশী নারী ডুব দেয় জাগতিক
 
                                      ক্ষুধামান্দ্য ভুলে


2 comments:

  1. খুব ভালো কবিতা

    ReplyDelete
  2. সবকটি পড়লাম । একাধিকবার । পড়তে ইচ্ছে জাগে ।

    ReplyDelete

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

চলচ্চিত্র নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত? ঋত্বিক ঘটক :   চলচ্চিত্র তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্য মানবজাতির জন্য ভাল কিছু করা। যদি আপ...

পাঠকের পছন্দ