অলিখিত
সমঝোতা
এই
ছলনা এই স্যাঁতস্যাঁতে চামসা পিরিতি
এ
তো বনলতা সেনের চুলও দ্যাখেনি ;
দারুচিনি
দ্বীপ তো দূরের কথা
গাঁয়ের
কালভার্ট পেরোতে গিয়েই দম শেষ ;
হাঁসফাঁস
স্মৃতি আর বিস্মৃতি নিয়ে
নিদারুণ
বৈশাখের তপ্ত হাওয়া যেন বলছিল,
“শীতকাল
কবে আসবে সুপর্ণা”?
শীতকাল
এসেছিল কিনা তাও জানিনা,
তবে
মধ্যবর্তী বর্ষায় যমুনা জলে মুখ ধুতে গিয়ে
শ্রীরাধিকা
দেখে ফ্যালেন নষ্ট হওয়া ভ্রূণ ;
বহুদূরে
কৃষ্ণ তখন কর্পোরেট হাউসের ছাদে বসে
কুরুক্ষেত্র
যুদ্ধের প্ল্যানে মশগুল ;
বেজে
উঠল ভেরি, দামামা, কতশত শঙ্খ
শব্দের
আর্তনাদ আর আর্তনাদের প্রেক্ষাপট ঘিরে
দায়
ও দায়িত্ব ছাড়া ভাসমান এই সম্পর্ক-স্রোত
;
অলিখিত
সমঝোতা বুঝে নেয় নিপাট কৌশল
আমাদের
প্রাত্যহিক হেঁটে চলে তার-ই ধার ঘেঁষে ;
সোঁদাগন্ধ
ও সযত্ন বাঙ্ময়
এই যে প্রাচীন জনপদ পুরনো সোঁদাগন্ধ
অলৌকিক হাওয়ারা সব কেমন এলোমেলো
হাড়হিম করা রহস্যগল্পের নেপথ্যে অনিবার্য টান
তাকে তুমি সঙ্গোপনে পাশে রাখো
হেঁটে যাও দূরে বিলম্বিত আলাপের প্রান্ত ছুঁয়ে
যে মানবী-স্মৃতি তাকে শিলালিপি ভেবে বোসো না
অক্ষরে অক্ষরে আজ মায়ার শরীর
খননে উৎকর্ষ ওঠে, উঠে আসে সযত্ন বাঙ্ময়
পবিত্র পাপের মত তাকে যদি ক্ষমা করা যায়
উঠোনজোড়া স্মৃতি অবাক বিস্ময় নিয়ে জীবনকে
দেখে যায়...
No comments:
Post a Comment