গণ-ক্রেসি -- শ্রীজাতা গুপ্ত







তারপর রাজা বললেন
,
-“তোমাদের সকলের মত আছে তো?”
-“হ্যাঁ-অ্যা-অ্যা-অ্যা...”
তারপর, প্রিয় রাজা আমাদের, জানতে চাইলেন,
-“কী? তোমরা সবাই রাজি তো?”
-“আজ্ঞে রাজামশাই, রাজি-ই-ই-ই-ই-ই

সভা ভেঙে যায় হইহই রবে কী ভালো যে রাজা আমাদেরকী সাবলীল রাজ্য ঠিক কী বিষয়ে মত চাইলেন, তা' যদিও শোনা যায়না এত দূর থেকে কোন-কোন বিষয়ে রাজি হলাম আমরা, তা-ও বেশ অস্পষ্ট তবু, সভায় যে প্রতিবার ঢুকতে দেওয়া, বসতে দেওয়া, হয়, এই আমাদের একটি মাত্র সুখ  আমাদের দামী মতামতেই চলছে রাজ্যপাট, এই আমাদের বাৎসরিক উৎসব এরপর একেএকে সভা থেকে আমাদের প্রস্থান যে যার জায়গায় বসেছিল, উঠে পড়ল মেক্সিক্যান ঢেউয়ের মতন একদিকে উচ্চবর্গীয়রা, মাঝামাঝি ধরি মাছ না ছুঁই পানি-র দল, অন্যপাশে একেবারেই অপাঙক্তেয় দুর্জন এইভাবেই আদিকাল থেকে ভাগ হয়ে এসেছে জনগণসভার স্পেস এইভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় কেটে কেটে পরিবেশন করা হয়েছে গণতন্ত্রের কেক-পাঁউরুটি যার ভাগ্যে যত বড়, যত ছোট টুকরো পড়ল, তা' নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এখন বিশেষ কাউকে দেওয়া হচ্ছে না টুকরোগুলোর অসমবন্টন বোঝার ক্ষমতাই তৈরী হবেনা, এমন ব্যাবস্থাও নেওয়া হচ্ছে, শোনা যায় বড় ছোট চোখে পড়বে না কারুর হাতে এক টুকরো রুটি যে পাওয়া গেছে, তা'তেই সকলে খুশি থাকব আমরা কারণ, আমাদের প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দেওয়া হবে, হাতে এই একটুকরো রুটি যদি না আসে, কী কঠিন হয়ে উঠিবে আমাদের দিন তাই, ছটবড় মাপজোখে না গিয়ে, এই, এইটুকু নিয়ে খুশি থাকাই ভালো

বছরে একবার আমারা রাজদরবারে এসে মতামত, ইচ্ছা-অনিচ্ছা জানিয়ে যাই রাজার উঠোনে যে উঠোনে হাসিমুখে বক্তৃতা দিতে এসে রাজা বারবার বলবেন বটে, 'এ কি আর আমার উঠোন? এ কি আর আমার জমি?', বলেই বিছিয়ে দেবেন দিগন্তগামী ফরাশদূর থেকে চোখে পড়বে সুবিস্তৃত একটি কারপেট কেবল, যার উপরে এই একটু আগেই বসে ছিলাম আমরা কেবল, কাছাকাছি পৌঁছোলে দেখা যাবে, আমাদের বসে থাকার মধ্যে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজপরিবারের সদস্যদের সূঁচ; সভা-সাংসদ দের ঝাঁ-চকচকে কাঁচিইচ্ছেমত দুইদল মানুষ বেছে নিচ্ছেন তাঁরা কখনও, তাঁদের গায়ের রঙ আলাদা বলে, কখনও তাঁদের ভিন্ন ভাষার দোহাই, কখনও বা ধর্ম-অধর্ম, বিশ্বাস-অবিশ্বাস- কারণ যা-ই হোক, দল বাছছেন রাজার লোক ক্যাঁচক্যাঁচ কাঁচি চালাচ্ছেন ফরাশের গায়ে সঙ্গে সঙ্গে সূতোর ফোঁড়ে আলগা হাতে জুড়েও রাখছেন আর, সেলাইয়ের এপারের মানুষ অন্যদিকে তাকিয়ে ভাবছে, এই তাহলে 'ওরা এবং আমরা' তৈরী হচ্ছে গোটা একটি দেশের মানচিত্র রাজ্যের ভাগাভাগি পতাকার নিশান এক একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ ফরাশের অন্যদিকে এরপর আর তাকাচ্ছেই না দূর থেকে কানে আসছে, মাঝেমাঝেই সমস্বরে জানানো হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রামের, শহরের, রাজ্যের, দেশের মানুষ নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করে নিচ্ছেন নিজের তাকতে অভ্যন্তরীণ কোলাহল, সেলাইয়ের ধারেকাছে ছোটখাটো ফুটো, তাপ্পি, দৃষ্টির অগোচরে চলে যাচ্ছে নিয়মিত যেভাবে বর্ডার পার হয়ে যায় পরিচয় অথবা ধানজমি

আমরা কি আর রাজনীতি বুঝি? এতক্ষণে সভা ফেলে আমরা ফিরে এসেছি যে যার আস্তানায় গেট খুলে দেখতে পাচ্ছি, বসে রয়েছেন প্রতিনিধি বিধান দিচ্ছেন, “বুঝলে হে, এবার থেকে জমির মালিকানা পালটে দিলাম থাকবে এখানে তুমি ও তোমার পরিবার সুখে দুঃখে, যেমনটা ছিলে খাতায় কলমে জমি না হয় আমাদেরই থাককোথায় কখন ফসল ফলবে, কোথায় পড়বে বোমা, সেইসব নিয়ন্ত্রণ আমাদেরই থাক অথবা, শোনা যাবে, আমার প্রতিবেশীর বাড়ীতে চলছে চাপান-উতোর প্রতিনিধি বলে গেছেন, দু'টি এক্স-ক্রোমোসোম রয়েছে যাদের শরীরে, তাদের একটু বুঝে শুনে চলাই ভালো রাতবিরেতে ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো শরীর তারই থাক, শরীরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ত্ব তুলে দেওয়া হোক রাজতন্ত্রের হাতে খানিকটা ওই জমির মতই এইভাবে রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাইছে সুস্থ সমাজ নিরাপদ করতে চাইছে বাসিন্দাদের জীবন বিনিময়ে সামান্য সহযোগিতা,  এইটুকুই দাবী এতখানি প্রচেষ্টার পরেও কেউ এই নজরদারীর বাইরে যদি পদার্পণ করে, প্রাণসংশয় হয় তার, তখন কি আর প্রতিনিধিদের দোষ দেওয়া যায়? একদিন, গ্রামের পথে-পথে, শহরের অলিগলিতে লিফলেট বিলি হয় দলের ভিত্তিতে রাষ্ট্র থেকে নির্ধারিত হয়েছে ডায়েট প্ল্যান এক এক দলের নির্দি্ষ্ট খাবার ব্যাতিত আর কোনও আহার ধার্য্য নেই এক দলকে বোঝানো হয়েছে, অন্য দলের থেকে তাদের খাবারের ধরণ আলাদা হওয়াই বাঞ্চনীয়, নইলে 'ওরা-আমরা' বাঁচিয়ে রাখা যাবেনা আইডেন্টিটি তৈরী হবে কী করে? তাই, গ্রামে শহরে রাজ্যে দেশে উঠোনে গলি থেকে রাজপথে জ্বলেছে বিশালাকৃতি আগুন তার উপর চেপেছে কড়াই ইতিহাস, দর্শন, অতীত বর্তমান মিলেমিশে ফুটছে টগবগ তাতে পড়েছে এক মুঠো ব্যক্তিস্বাধিনতা, দু'চিমটি অভিমত দলগত রেসিপিতে তৈরী হচ্ছে সুস্বাদু আইডেন্টিটি রাজভোগসেই আইডেন্টিটি আঁকড়ে থাকা মানুষ ক্রমশ আলাদা করে ফেলছে সাজ পোষাক মুখোশ চোখের চাহনি ছুরির ধার

এখন, এর মধ্যে কেউ যদি তর্ক জুড়ে বসেন, কেন তুলে দিতে হবে নিজের মাটি অন্য কারুর হাতে? কেন কারণ ছাড়াই আপনার গতিপথ অবরুদ্ধ হবে? কেন আটকে দেওয়া হবে ইচ্ছেমত চৌকাঠ পারাপার? কোনও অষ্টাদশী যদি বা ভুল করে বলেই ফেলে, বিপদে মোরে রক্ষা করো,  এ নহে ডাবল-এক্স-ক্রোমোসোমের প্রার্থনা বিপদের কারণটিকেই কেন নির্মূল করছেন না রাষ্ট্র? কেউ যদি বলে ফেলেন, আমি তো সর্বভুক! আমার লক্ষ্যবছরতুতো আত্মীয়স্বজন, তাঁদের ধর্ম যাবে কোথায়?  আমায় কেন রীতিনীতির আবডালে বাছবিচার শেখাও? তার মধ্যেই সন্তর্পনে ঢুকিয়ে দাও বৈষম্য? এইসব জিজ্ঞাসাবাদের চারপাশে পড়বে কাঁটাতার বাইরে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা থাকবে 'ভূমিশত্রু হইতে সাবধান' এরপর প্রশ্নকারীর নাক কাটা যাবে না মাথা, তা' নিয়ে বেশি উৎসাহ দেখাবে না দেশ সেখানে তখন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়বে পুজোর বাজার, ঢাকে কাঠি আর শরতের নীল-সাদা আকাশ উপচে পড়বে উপহার তার গায়ে প্রাইসট্যাগ অনুযায়ী ফিরে যাবে প্রতি-উপহার আর অসংখ্য রাঙতার মোড়কের আড়ালে আমরা আবিষ্কার করব পরিত্যক্ত দারিদ্র‍্য অন্য কাগজে মুড়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে অপ্রিয় আত্মীয়ের বিয়েতে সেখান থেকে চলে যাবে বাড়িওয়ালার বিবাহবার্ষিকীর তত্ত্বে বছরঘুরে ফিরে আসবে আমাদেরই জন্মদিনে যে উপহার কেউ কখনও কোনওদিন কাউকে দেখাবে না, এ নিয়ে মুখ খুলবেই না কেউ রাজসভায় নিয়ে যাওয়ার তো কোনও প্রশ্নই ওঠেনা এইভাবে অন্যসব কাঙ্ক্ষিত উপহারের সমুদ্র উপকূলবর্তী বালিতে মাথা গুঁজতে গুঁজতে আমরা একদিন বিশ্বাস করতে শিখে যাবো, কেউ কোনওদিন দারিদ্র‍্য দেখতেই পায়নি জীবনের অনুষ্ঠানে

যাঁরা আমরা এতদিনে শিখে গেছি প্রশ্ন বেশি করতে নেই একেবারেই, তাঁরা নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে আসি দু'একটা বইয়ের পাতা উলটোই অথবা সোফায় গা এলিয়ে ভাবি, কোন বায়োস্কোপটা দেখা যায় আজ রাতে? এর আগে অবশ্যই সাম্প্রতিক বিধান জেনে নিতে হবে কোন বই আর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা আজকাল, কোন সিনেমার পোস্টার পুড়িয়ে দিয়েছে একদল সমাজ-হিতকারীর দল, সে সব জেনে রাখা অবশ্য কর্তব্য এইসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাঝে অতিপাকা ভাইপোটি বলে উঠবে, “দেখবে নাকি? নিষিদ্ধ চলচিত্র? ইন্টারনেটে চলছে রমরমিয়ে' অথবা, অকালপক্ক বোনঝি ব্যাগ থেকে বের করবে রাষ্ট্রে ব্ল্যাক্লিস্টেড উপন্যাস কলেজের সদ্য বিলেতফেরত সিনিয়রটির থেকে ম্যানেজ করেছে কয়েকদিনের জন্য এ বইয়ের এখন অসম্ভব ডিমান্ড আমরা তখন রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সিনেমার পর্দায় চোখ রাখতে পারিনা আর, মনোযোগ দিতে পারিনা প্রাস্তাবিত বইয়ের পাতায় আমরা তখন পরবর্তী প্রজন্মকে শেখাতে উদ্যত হই, এসব কু-বুদ্ধিতে কান না দিয়ে একবার তাকিয়ে দেখতে, কোথায় কোথায় বই পড়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, কোথায় মানুষ সিনেমার পর্দাও দেখতে পারেনা চোখে তুলনামূলক বিচারে, আমাদের অবস্থান কতখানি উন্নত আরও কত খারাপ পরিস্থিতে বেঁচে থাকতেই পারতাম আমরা সেখানে, রাষ্টের এই সামান্য নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এত কেন বিরোধিতা? আগামীর ভালোর জন্য যা যা পরিত্যাজ্য সেইসব ভাবনা চিন্তা করাই রাষ্ট্রের কাজ নয় কি? সকলের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, নেওয়া হয়েই গেছে এখন কেবল পালন করাটুকুই ইয়ুটোপিয়া অর্জন করার একমাত্র উপায় গভীর এই আলোচনার মাঝে ঘনিয়ে আসে গম্ভীর রাত চিলেকোঠায় হলদেটে আলোর নীচে গোপন কবিতার খাতা খুলে বসে তরতাজা কিশোরী তার পাশাপাশি কাঁচাপাকা দাড়ির প্রবীন দু'জনের কপালেই ভাঁজ দু'জনেরই কলম চলছে খসখস বাজেয়াপ্ত শব্দগুলো টেনে বের করে আনছে তারা পৃষ্ঠার শরীরে বহিষ্কৃত ভাবনাচিন্তাদের শেকড়ে ঢেলে দিচ্ছে সঞ্জীবনী সুধা কাল সকালে কেউ এদের আর দেখা পাবেনা এদের পুঁথিপত্র জ্বালিয়ে দেওয়া হবে অ্যালেক্স্যান্ড্রিয়ার গ্রন্থাগারে তা সত্ত্বেও, রোজ রাতে, সমস্ত তর্কবিতর্কের ঊর্ধ্বে দু'জন অসমবয়সী কবি, চারজন ঔপোন্যাসিক, এক দল চিন্তক, নিয়মিত বসছেন অনিবার্য্য নিষেধাজ্ঞার নীচে চাপা পড়া অনুভূতিদের স্বর খুঁজে দেওয়ার সংকল্পে

ততদিনে আমরা ভুলে গেছি এক একটি মুখের থাকে নিজস্ব পরিচয় তাই, আশেপাশে মুখগুলি ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকলেও আমরা টের পাচ্ছিনা আর বছরে নিয়মমত রাজসভায় যাই, কিন্তু আমাদের আর মন নেই সিদ্ধান্তে আমাদের ছাড়াই যে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হচ্ছে, সে খেয়ালও করিনা আমরা আমাদের চোখ নিবদ্ধ ফ্ল্যাটস্ক্রিনে, কান বন্ধ রাখার নানা উপায় চাপা শোরগোল উঠলে আমরাও একবার চেঁচিয়ে উঠি প্রাণপণে সে চিৎকারে কোনও অর্থপূর্ণ স্বরনিক্ষেপ নেই যা এক দিক থেকে শুনলে মনে হবে 'হ্যাঁ', অন্যদিক থেকে যার অর্থ হতেই পারে 'না' আমরা আজকাল এইভাবেই কথা বলি যার দু'দিক রক্ষার ক্ষমতা রয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে সভা থেকে বেরিয়ে এসে ভাবি, যাক, এখনও তো টিঁকে আছে, সাধারণ মানুষের মতামত আমরা কি আর অতশত রাজনীতি বুঝি? সহস্র বছর পরে একদল পন্ডিত না হয় এ নিয়ে বিচারে বসবেন আমাদের রাষ্ট্রেচালনের মূল চরিত্র কী ছিল? ডেমক্রেসি নাকি অলিগোক্রেসি? টিরানি? না না, সে হতেই পারেনা! এ সম্ভাবনা মনে আনাও পাপ মন্ত্র পড়ার মত আমাদের মাথার উপর ফুঁ দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে, বিশ্বেরে বৃহত্তম গণতন্ত্র তো আমরাই গণতন্ত্র কাকে বলে, তা' আমরা মোটামুটি শিখে নিয়েছি আলোকোজ্জ্বল মঞ্চ থেকে ছুটে আসা বক্তৃতার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খাতিরে যাদের এই বিষয়ে লম্বা উত্তর লিখে নম্বর অর্জন করে নিতে হয়েছে, তারা অবশ্যই বেশি জানে আমাদের থেকে আমাদের এইটুকুতেই দিন চলে যায় বাদবাকি চিন্তা সব বিদ্বজ্জনেদের জন্য থাক এখনও তাঁরা বিতর্কে মাতেন, স্পার্টায় ছিল ডেমক্রাসি নাকি এথেন্সে? ডেমক্রেসির বিবর্তন হল কত সালে? কার অধীনে? কোন সময়ে মেসোপটেমিয়ার ডেমক্রেসি গোপনে হয়ে উঠল অলিগোক্রেসি? এইসব তাত্ত্বিক আলোচনা থেকে আমরা কুড়িয়ে পাবো কিছু সংজ্ঞা বুলেট পয়েন্টে লেখা থাকবে, ডেমক্রেসি কিম্বা অটোক্রেসির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আমরা খাতা-কলম নিয়ে টিকমার্কে ভরিয়ে তুলব ডেটাশিট কে কত নম্বর পেল? কতখানি ভারী হল গণতণত্রের পাল্লা, কতখানি স্বৈরাচারের দিকে এর মধ্যেই ঝাপসা হয়ে আসবে সংজ্ঞার তালিকা এর মধ্যেই আমরা ভুলতে বসব, একটি পয়েন্টও যাওয়ার কথা ছিল না স্বৈরাচারের দিকে যতক্ষণ না মিলে যাবে ঐতিহাসিক সবক'টি বৈশিষ্ট্য, আমরা ভাবতেও পারব না খাঁড়া আর গর্দানের মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে বিপজ্জনক ভাবে আমরা আর কী-ই বা বুঝি রাজনীতির? বছর বছর সভায় গিয়ে একবার শোরগোল তুলতে পারলেই গণতন্ত্রের পাল্লা থাকবে আমাদেরই পক্ষে

2 comments:

  1. বাহ্.... চমৎকার

    ReplyDelete
  2. বেশ কথনভঙ্গিমাটি। শাণিত এবং দীপ্র।

    ReplyDelete

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

চলচ্চিত্র নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত? ঋত্বিক ঘটক :   চলচ্চিত্র তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্য মানবজাতির জন্য ভাল কিছু করা। যদি আপ...

পাঠকের পছন্দ